বরিশালের বাবুগঞ্জে চাচাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক লক্ষাধীক টাকার গাছ কাঁটার ও জমি দখলের অভিযোগ করেছে ভাতিজি। এঘটনায় ভাতিজি মোসাঃ লাইজু দুই চাচাসহ ৫ জনকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের হাদিবাসকাঠী গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন, চাচা আলম খলিফা, নুরুল ইসলাম খলিফা, গাছ ব্যবসায়ী ফেরদাউস, ইমরান ও সিদ্দিকুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হাদিবাসকাঠী গ্রামের মৃত এসকেন্দার খলিফার স্ত্রী মোঃ রাবেয়া বেগমের জমিতে রোপীত ১০/১২ টি রেইনট্রি গাছ শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ আলম খলিফা ও তার দলবল নিয়ে কেঁটে ফেলেন। এমনকি আলম খলিফার ভাড়াটে স্থানীয় মোখলেস নামের একজন রাবেয়া বেগমকে দেখে নেয়ার হুমকি ও গালিগালাজ করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা জরুরী সেবা ৯৯৯ তে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গাছ কাঁটা বন্ধ করে।
এ ঘটনায় রাবেয়া বেগমের মেয়ে মোসাঃ লাইজু আক্তার এয়ারপোর্ট থানায় শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম বলেন, হাদিবাসকাঠী মৌজার ১ একর জমি আমার নামে রয়েছে। জমিতে আমার গাছ লাগানোসহ স্থাপনা রয়েছে। ওই জমি দখল ও গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বিবাদীগন পায়তারা করছে। শনিবার সকালে বিক্রির উদ্দেশ্যে আমার ১২ টি লক্ষাধীক টাকার গাছ কেঁটে ফেলে দেয়। বাধা দিলে আমাকে বকাবকি ও মারার হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত আলম খলিফা বলেন, জমির কাগজ আমাদের নামে না থাকলেও গাছ আমাদের রোপিত। তাই গাছ কেটে ফেলেছি।
এয়ারপোর্ট থানার এসআই উত্তম কুমার বলেন, ৯৯৯ নম্বরের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কেঁটে ফেলা গাছের ভিডিও ধারন করি এবং উভয় পক্ষকে শান্তি বজায়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আগামী ৩১ মে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে থানায় বসার কথা রয়েছে।