ভরা মৌসুমেও চালের দাম কেন বাড়ছে, এর পেছনে কারও কোন কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রীসভা বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানান, অবৈধভাবে কেউ চাল মজুদ করলে কিংবা অনুমোদন ছাড়া চালের ব্যবসায় যুক্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের চাহিদার বড় একটি অংশের চালই সংগ্রহ করা হয় বারো মৌসুমে। অর্থাৎ বছরের এই সময়ে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে চালের দাম।
অসাধু ব্যবসায়ীরা কৌশলে সপ্তাহে দুই-তিন টাকা করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। ফলে মাস শেষে কেজি প্রতি দাম বাড়ছে ১০-১২ টাকা। অথচ এই সময়ে চালের দাম বাড়ার কারণ নেই।
সোমবার (৩০ মে) মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে অন্যতম প্রসঙ্গ ছিলো চাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের বৈঠক শেষে সেই কথাই জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব।
ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন ধান ও চালের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন চালের বাজার চড়া। এটি নিয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
অন্যান্য ব্যবসার অনুমোদন নিয়ে কেউ চাল কিনে অবৈধভাবে মজুত করছে কিনা, তাদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
সচিব আরও বলেন, কিছু দিন আগে ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি হলে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, একইভাবে চালের মজুত হতে পারে।
এ কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব ও কৃষি সচিব বৈঠক করে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করবেন।
প্রয়োজনে চালের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি পণ্য ব্যবসার জন্য কতদিন মজুত রাখা যাবে, এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব খতিয়ে দেখে অবৈধ মজুতকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শক্রমে কোথাও চালের অবৈধ মজুত রয়েছে কি না, কারা নিয়মের বাইরে মজুত করছে সে সম্পর্কে তথ্য নিতেও বলা হয়েছে।
এছাড়া যাদের চাল বা ভোজ্যতেল অথবা এসব পণ্যের ব্যবসার অনুমতি না থাকার পরও যারা অবৈধভাবে সেসব পণ্যের ব্যবসা করছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।
তবে চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় চাল আমদানি করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব।