আফ্রিকার দেশ চাদে সোনার খনিতে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ঘটা এই ঘটনায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া। গত ২৩ মে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও সোমবার (৩০মে) এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। খবর এএফপির
খবরে বলা হয়েছে, ২৩ মে লিবিয়া সীমান্তের কাছে কৌরি বোগৌদিতে ঘটনার সূত্রপাত হয়। দুই ব্যক্তির মধ্যে সামান্য তর্কাতর্কি থেকেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী এনজামেনা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে মধ্য সাহারার একটি অসম ও কার্যত আইনহীন এলাকা তিবেস্তি পর্বতমালায়।
চাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবার নয় যে এই অঞ্চলে সোনার খনি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আপাতত আমরা সেখানে সমস্ত সোনার খনির কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত বুধবার ঘটনাটির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। চাদের যোগাযোগ মন্ত্রী আব্দেরামান কৌলামাল্লা একটি বিবৃতিতে বলেন যে, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাধিক বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগ উঠছে। সোমবার এই অঞ্চলের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী, মিলিটারি কমান্ড রেসকিউ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে যে, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে।
প্রায় এক দশক আগে চাদের তিবেস্তি পর্বতমালায় সোনার খনি পাওয়া যায়। তারপরই চাদ এবং প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সেখানে বিপুল হারে খনি শ্রমিকদের আগমন ঘটে। সেখানে শ্রমিকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং প্রায়শই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে৷
চাদের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মহামাত নুর ইবেদু বলেছেন, লড়াই শুরু হওয়ার পরে সরকার বাহিনী পাঠিয়েছিল, তারাই মানুষের উপর গুলি চালায়।