মহাসড়কে ডাকাতির করতে একটি ডাকাত চক্রের সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকতো। পূর্ব পরিকল্পিত নির্ধারিত স্থানের নিকটবর্তী স্টেশনে ডাকাত দলের সদস্য টার্গেট বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিতো। সংকেত পাওয়া মাত্রই দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলা হতো। অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেতো। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকতো না সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করতো।
এমন অভিযোগে শুক্রবার (৩ জন) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানাধীন বালিয়ারপুর মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতিকালীন সময়ে দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র ডাকাত সর্দারসহ ১১ জনকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতাররা হলেন- ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র মূলহোতা মো. শামিম ওরফে সব্দুল (৩০), মো. আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (২৩), মো. ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), মো. সজিব ইসলাম (২৫), মো. জীবন সরকার (৩৪), শ্রী স্বপন চন্দ্র রায় (২১), মো. মিনহাজুর ইসলাম (২০) ও শ্রী মাধব চন্দ্র সরকার (২৬)।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল একটি, পাইপগান একটি, ওয়ান শুটারগান দুটি, গুলি ছয় রাউন্ড, ম্যাগাজিন একটি, শাবল একটি, রশি তিনটি, লোহার রড একটি, চাপাতি একটি, রামদা দুটি, চাইনিজ কুড়াল একটি, হাউজ কাটার একটি, ছুরি দুটি, টর্চ লাইট দুটি, ব্যাগ ১১টি, হ্যাক্সো ব্লেড দুটি, দা একটি, লেজার লাইট দুটি, দেশি কুড়াল একটি ও একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।