চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটনার পর শনিবার (৪ জুন) সকালে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম।
গ্রেফতাররা হলেন, বোয়ালখালী পৌরসদরের পূর্ব গোমদন্ডী ৪নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দীন হাজি বাড়ির মো, বাদশা মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন সাগর (১৯), ৬নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানিউল্লাহ আলী রিমন (২০) ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চান মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন (২৬)।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ও শিক্ষার্থী তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় যায়। সেখানে আলমগীর নামের তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করে। এসময় ফুলতল এলাকায় কিছু বখাটে যুবক তাদের এতো রাতে অবস্থানের কারণ জানতে চেয়ে অবরুদ্ধ করে।
এরপর বখাটেরা তাদের জোর করে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে বোয়ালখালী ফায়ার স্টেশনের সামনের একটি কাঁচা সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর বখাটেরা আলমগীরের গলায় ধারালো ব্লেড ধরে জিম্মি করে রাখে। রাত ২টার দিকে সবাই মাদক সেবন করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এরপর ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তাদের বাসার সামনে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী বাসায় এসে ঘটনা জানালে তার মা থানায় চার ধর্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় জড়িত সায়মন নামের আরেক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ওসি আবদুল করিম জানান, স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত আরেকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। থানার একাধিক টিম বাইরে আছে।