ইউক্রেন সংকটে সাইবার হামলা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। এমন ধারাবাহিকতায় মস্কো সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ পশ্চিমের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের হুমকি বাড়িয়ে তুলছে। সাইবার হামলার মাধ্যমে মস্কোকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টা পাল্টা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার অবকাঠামো এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন দায়ী। মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা বিভাগের প্রধান কর্তৃক জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে সাইবার হামলা বাড়ানোর পথ সুগম করে দিচ্ছে।
বিৃবতিতে রাশিয়া আরও জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সামরিকীকরণের মাধ্যমে পশ্চিমারা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংঘর্ষের ক্ষেত্র প্রসারিত করছে। একইসাথে অপ্রত্যাশিত পরিণতি ও সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের হুমকিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ান সৈন্যদের ব্যর্থ করতে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন বাহিনী।
এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী ধীরে ধীরে কিয়েভের পূর্বে খারকিভ অঞ্চলে অগ্রসর হচ্ছে। সেনারা আমাদের ভূমি মুক্ত করছে।
এ সময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি ইউক্রেনের জনগণের অনুরোধ রক্ষা করার আহ্বান জানান।
জেলেনস্কি বলেন, অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করে। তাই ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের উচিত হবে ইউক্রেনের জনগণের দাবিকে গ্রহণ করা এবং ইউক্রেনকে ইইউ সদস্যভুক্ত করে দেশটির সম্মান রক্ষা করা।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা শুরু করে ইউক্রেনে। এরপর থেকেই বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে শরণার্থী ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ব অর্থনীতি এখন ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি জ্বালানি সংকট সমানতালে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।