কারেন্ট জাল জব্দসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ
নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকার বন্ধ রাখা ও নৌ-পথের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করে অভিযান চালিয়েছে নৌ-পুলিশ।
অভিযানে ড্রোনের মাধ্যমে চিহ্নিত করে নদীতে পেতে রাখা ১০ লাখ ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, তিনটি বাল্কহেড, চারটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। এসময় ১৭ জনকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ।
বুধবার (১৫ জুন) রাতে নৌ-পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সাথী শর্মা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের নৌ-পথকে নিরাপদ রাখতে এবং মৎস্য ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নৌ-পুলিশ। ক্রমাগত অভিযানের কারণে ইলিশসহ সব প্রকার দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নৌ-পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলামের নির্দেশে নৌ-পুলিশ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ও চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুরের ষাটনল, মোহনপুর, একলাশপুর, চর উমেদ, লক্ষীরচর, রাজরাজেশ্বর ও চাঁদপুর সদরে এই অভিযান চালানো হয়।
নৌ-পুলিশ প্রধান জানান, নদীপথে ড্রোন ব্যবহার অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। কোনো অপরাধের পূর্ব প্রস্তুতি, অপরাধের স্থান নির্ধারণ এই ড্রোনের মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।