টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আসামে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য দুটিতে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পানিবন্দী অবস্থায় আছে দুই রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় আসামের ৩৩ জেলার ৩২টি প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার প্রধান ৫টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৪ হাজার ২শর বেশি গ্রাম।
এক লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে ৫১৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যায় রাজ্যটির একাধিক বাঁধ, কালভার্ট ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
এদিকে, ত্রিপুরার আগরতলায় মাত্র ছয় ঘণ্টায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গৃহহীন অবস্থায় আছে ১০ হাজার মানুষ। বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সদস্যরা ছাড়াও কাজ করছে সেনাবাহিনী।
মেঘালয়ের মৌসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সালের পর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যায় মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ত্রিপুরায়ও ১০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
গত ৬০ বছরে এবারই আগরতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হল বলে জানিয়েছে সরকারি বিভিন্ন সূত্র। বন্যার কারণে শহরটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত সুবানসিরি নদীর পানিতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মাণাধীন একটি বাঁধ তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।