ক’দিন ধরেই সংসার ভাঙার নানা আতংক ছিল সানী-মৌসুমীর। দাম্পত্য কলহে দুই তারকার মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে সানীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা মিলল পুরো পরিবারের। যেখানে একসঙ্গে বসে খাচ্ছিলেন মৌসুম ও তিনি। এরপর আসে ভিডিও।
এসবের পর এবার নতুন করে সবার উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়েছেন ওমর সানী। বলেছেন, মৌসুমী ও তার দেয়া বক্তব্য কোনো কোনো জায়গায় এডিট করে ভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এসব থেকে সবাই যেন সরে আসেন। সোমবার (২০ জুন) এক অডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ওমর সানী বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ দেখছি গণমাধ্যমে আমার আগের দেয়া বক্তব্য থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে কেটে বাদ দিয়ে আপনারা অনেকে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী ও আমাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা প্রচার করছেন। শুধু তাই-ই নয়, আমার আর মৌসুমীকে নিয়ে নিজের মতো করে সংলাপ বানিয়ে কেউ কেউ তা প্রচার করছেন। এটি বিভ্রান্তিকর কাজ। এগুলো বাদ দেন। এগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, আমাদের মধ্যে যে সমস্যা ছিল, তা সবার দোয়া, ভালোবাসায় মিটে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নিচে আছি, আমরা একসঙ্গে আছি, এক ঘরেই আছি। আমি, মৌসুমী, ছেলেমেয়ে ফারদিন, ফাইজা, আমার ছেলের বউ আয়েশা আমরা একসঙ্গে আছি। ভালো আছি, সুখে আছি আমরা।’
এর আগে, গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন উঠে ওমর সানী-মৌসুমীর সংসার ভাঙনের। তা আরও জোরদার হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সানীর দেয়া অভিযোগপত্রে।
তিনি জানান, চিত্রনায়ক জায়েদ খান তাদের ২৭ বছরের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এই কারণেই এর আগে অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে বাধে সংঘর্ষ। সানী সপাট চড় মারেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে।
১২ জুন সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন। তবে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। শেষটা ভালই হতে চলেছে সানী-মৌসুমী দম্পতির।