মস্কো তার সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জুন) টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘সম্ভাব্য সামরিক হুমকি এবং ঝুঁকি বিবেচনায় আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বিকাশ ও শক্তিশালীকরণ অব্যাহত রাখব।’
এসময় রাশিয়ার নতুন পরীক্ষিত আন্তঃমহাদেশীয় ‘সারমাত’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথাও উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হলে কড়া জবাব দেয়া হবে বলে সম্প্রতি সতর্ক করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘কিয়েভকে যদি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হয়, আমরা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেব এবং এমন লক্ষ্যে আঘাত হানতে আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করব, যেসব লক্ষ্যে আমরা আগে আঘাত করিনি।’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের কাছে অত্যাধুনিক মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম চাইছে, যা দিয়ে তারা রুশ বাহিনী এবং তাদের অস্ত্রভান্ডারে আঘাত হানতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সম্প্রতি ইউক্রেনকে ‘এইচআইএমএআরএস রকেট সিস্টেম’ দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
তবে তার আগে তিনি ইউক্রেনের কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা নিয়েছেন যে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হবে না।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ওই রকেট সিস্টেম দিলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে।