ইউরোপের পাশাপাশি এশিয়াতেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামসহ মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে বাড়তে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফিতি। হুহু করে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। লাগাহীন নিত্যপণ্যের দরও। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় নিম্ন আয়ের মানুষ।
কোভিড মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল বিশ্ব অর্থনীতি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থমকে গেছে অর্থনীতির গতি। আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে বৈশ্বিক মন্দার। ইউরোপের পাশাপাশি এশিয়ার দেশগুলোতেও দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফিতি। জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের সঙ্কটের কারণে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্সসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জ্বালানি সঙ্কটের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে ভাড়ায় চালিত যানবাহন চালকদের অবস্থা বেশি খারাপ। খবর আল জাজিরার।
ভিয়েতনামের এক নাগরিক বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের আয় ইনকাপে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। আশা করছি দ্রুই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে সামনের দিনগুলোতে কি হবে বুঝতে পারছি না।
আরেকজন বলেন, এটা আমাদের জন্যই সত্যিই অনেক কষ্টের। করোনা কারণে এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। সত্যি বলতে, আয়ের বেশির ভাগ অংশই এখন খরচ করতে হচ্ছে। সঞ্চয় বলতে আর কিছু নেই।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে চলতি বছরে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ কমতে পারে। এমন অবস্থায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এরইমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কৃষি খাতকে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বাজার ব্যবস্থা।