ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ের বন্যা পরিস্থিতি তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এখন পর্যন্ত আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল রাজ্যে মোট ১৩১ জন মারা গেছে বন্যায়।
শুধু আসাম রাজ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাজনিত ঘটনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
ধস নেমে বন্ধ অরুণাচলের একাধিক পাহাড়ি রাস্তা। বন্যা এবং ধসে বিধ্বস্ত মেঘালয়। বন্যা কবলিত হয়েছে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের তিনটি জেলা।
তবে এখনো পর্যন্ত বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আসামে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেক মানুষ।
রোববার উদ্ধার কাজ চালানোর সময় কপিলি নদীর স্রোতে ভেসে গেছে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবল। সোমবার আরো সাতজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানা গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।গত চব্বিশ ঘন্টাতেই নতুন করে বন্যা আক্রান্ত হয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ।
আসামের ৩৩টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৮১০টি অস্থায়ী পূনর্বাসন কেন্দ্রে ২৩ লাখেরও বেশি বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
মেঘালয়ে বন্যার সাথে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে তিনটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।
এর মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহওয়া দপ্তর গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির কমলা সংকেত জারি করেছে।যার ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত রাজ্যগুলোকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।