বরিশাল: ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের অপরাধে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় এলাকা থেকে ৭টি মাছধরা ট্রলারের আটকৃকত ১১ জেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এদেরকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলে মো. ওয়াদুদ মাঝি (৪৫), পাবেল চৌকিদার (৩০), মো. সাঈদ প্যাদা (২৫), মো. মঞ্জু মুন্সী (২৫), মো. ইলিয়াস সরদার (১৯), জাহিদুল হাওলাদার (২২), মো. জুলহাস মাহমুদ (৪০), নজরুল হাওলাদার (৪৫), মো. সোহান গাজী (২০) ও মো. হারুন চৌকিদার (৪৫)-কে আটক করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ। ট্রলার মালিকদের অন্তর্ভূক্ত করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে মহিপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া এফবি আব্দুল্লাহ ২ ও এফবি ফাহিম নামের ২টি মাছধরা ট্রলার বরফ, জালসহ আন্ধারমানিক নদীর মোহনা থেকে আটক করা হয়।
পরে দুপুরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পুলিশ ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দু’ট্রলারের মালিককে পৃথক ভাবে ১৬ হাজার টাকা করে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানাসহ ট্রলারে মজুদকৃত বরফ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এ পর্যন্ত ১৭টি ট্রলার মালিককে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া অদ্য আটকৃকত দু’টি ট্রলার মৎস্যবন্দরের বিএডিসি ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে। যাতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ দু’টি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার কাছে ব্যবহার করা না যায়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।