মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বরিশাল জেলা হেযবুত তওহীদের চার
নারী সদস্য। অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন বরিশাল জেলার বন্দর থানার কাউয়ার চর এলাকার তাসলিমা বেগম, হোসনে আরা বেগম, তাসলিমা বেগম এবং হাফিজা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরিশাল কর্তৃক দ্বিতীয় বিচার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আল ফয়সাল আহম্মেদের কোর্টে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমানের উপর ভিত্তি করে আসামীগন নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাদের সবাইকে মামলা থেকে বেখসুর খালস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, নন.জি.আর ৫৯/১৮ বন্দর থানা বরিশালে এ মামলাটি ২০১৮ ইং সালে শুরু হয়ে আজ ৩০/০৬/২০২২ ইং পর্যন্ত দীর্ঘ ৩ বছর ৬ মাস চলমান ছিলো। প্রথমে মামলাটিতে সন্দেহপ্রবন ভাবে ৫৪ ধারায় আসামীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পরে একটি গোষ্ঠী বিশেষের প্ররোচনায় মামলাটির মোড় ঘুড়িয়ে দিয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা জনিত ২৯৮ ধারায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর মামলাটি মিথ্যা ছিল বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।
এই মামলাটির প্রসঙ্গে হেযবুত তওহীদের বরিশাল জেলা সভাপতি মো: কবির হোসেন মৃধা বলেন, আদালতে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ সকালে হেযবুত তওহীদের চার নারী সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কেননা আদালত কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে বরং সম্পূর্ণ ন্যায়ভিত্তিক এই রায়টি প্রদান করেছেন। জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আরো বলেন, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হলো, হেযবুত তওহীদ দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আইন ভঙ্গ করার নজির নেই। দেশের বিভিন্ন থানায় ও আদালতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অতীতে যত মামলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।