মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্য কমিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখতে আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমিয়ে ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির জানান, এর মূল চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সবশেষ পরিস্থিতি এবং দেশের বন্যার অর্থনৈতিক প্রভাব পর্যালোচনা অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা।
এদিকে, এক মাসের ব্যবধানে নীতি সুদহারও আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। তবে, ঋণ-আমানতের সুদহার বাজারে উপরের ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজার এখনও অস্থির, এর মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হানা দিয়েছে বন্যা। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতার পথে হাটতে চায় দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্য কমিয়ে ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বছর যা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। একই সময়ে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে এক মাসের ব্যবধানে নীতি সুদহার আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নীতি সুদহার নির্ধারিত হবে সাড়ে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করতে ব্যাংকগুলোকে এখন বাড়তি সুদ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে কমে ১৩ শতাংশ হতে পারে। বিদেশে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এমনটা হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।