বরিশাল: নৌযান নির্মাণ শিল্পকে এগিয়ে নিতে বরিশালে একের পর এক গড়ে উঠছে ডকইয়ার্ড। কর্মসংস্থান হচ্ছে বহু মানুষের। তবে কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। এতে সরকার প্রতিবছর হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।
বরিশালের কীর্তনখোলাসহ আশপাশের নদীতীরে একের পর এক গড়ে উঠছে যাত্রী ও পণ্যবাহী লঞ্চ এবং জাহাজ তৈরির ডকইয়ার্ড। এতে কাজ করছে হাজারো মানুষ।
তারা জানান, অনেক কষ্টের কাজ হলেও জীবন নির্বাহের জন্য এটি করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের সংসার চলে।এসব ডকইয়ার্ডের কোনোটিরই নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। অধিদফতর জানায়, বারবার নোটিশ দেয়ার পরও ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করছেন না মালিকরা।
বরিশালের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘২০ থেকে ২৫টি ডকইয়ার্ড রয়েছে। কোনোটিরই ছাড়পত্র নেই। আমরা তাদের নোটিশ করেছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাইনি। আমরা দ্বিতীয়বার নোটিশ করব। তারপরও যদি সাড়া না পাই, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তবে অনেকে আবেদন করেছেন বলে দাবি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আবেদন হালনাগাদ করা আছে। কিন্তু মূল রেজিস্ট্রেশন এখনো বাকি। নিবন্ধনের জন্য যেসব জটিলতা রয়েছে, সেগুলো যদি একটু সহজ করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় বরিশালে আরও কিছু ডকইয়ার্ড হবে।’
অবশ্য অনুমোদনহীন ডকইয়ার্ড মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বরিশাল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘যেগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন এবং পদ্মা সীমানার বাইরে যেসব ডকইয়ার্ড রয়েছে, এগুলোকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় বা ডকইয়ার্ড নীতিমালার আওতায় আনার জন্য চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদফতরের জরিপ অনুযায়ী, বরিশালে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত ডকইয়ার্ড রয়েছে।