রাত পোহালেই ঈদ। ঈদুল আজহায় সালাদ ছাড়া গরুর মাংসের কথা চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু সালাদের প্রধান উপাদান টমটো ও শসার দাম যে হারে বেড়ে গেছে, তাতে করে সালাদ খাওয়াই এখন বিলাসিতা। বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা ও শসার কেজি দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারে কথা হচ্ছিল রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ব্যবধানে বেড়ে গেছে টমেটো ও শসার দাম। এবার ঈদে সালাদ খাব না ভাবছি।’
কথা হচ্ছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী জারিফ সরকারের সঙ্গে। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘আমি কালকেও ৮০ টাকা দরে টমেটো কিনেছি। যদিও বাজারে টমেটোর ঘাটতি ছিল বলে মনে হয়েছে, কিন্তু এক রাতের ব্যবধানে টমেটোর দাম বেড়ে ২৫০ টাকা হয়েছে এটা মানা যায় না।’
টমেটোর দাম এত কেন জানতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বাজারে দেশীয় কোনো টমেটো নেই। গ্রীষ্ম মৌসুমে বাজারে দেশীয় টমেটো পাওয়া যায় না। যা দেখছেন সব আমদানিকৃত ভারতীয় টমেটো। বেশি দাম দিয়ে কিনে আনতে হয়েছে বলে, বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে।’
ঈদের আগের দিন কাওরানবাজার পাইকারি দোকানে ঘুরে দেখা যায়, আমদানিকৃত ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। যেসব টমেটো মানে খারাপ সেগুলো বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা টমেটোর দাম নিয়ে বলেন, বাজারে দেশীয় টমেটো নেই। এদিকে ঈদ চলে আসায় টমেটোর চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এতে করে দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়লেও মানুষ উচ্চমূল্যে টমেটো কিনছে।
এদিকে কেবল টমেটো নয়, দাম বেড়েছে শসা ও গাজরের। প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকা কেজিতে।
এ ব্যাপারে হাতিরপুলের সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বেশি দামে কিনে এনেছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন। কোরবানির ঈদে সালাদের চাহিদা বেশি থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এসব নতুন কিছু নয় বলে জানান তারা।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরু মোল্লা বলেন, বাজারে টমেটো ও শসার পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সিলেটের দিকে বন্যা হওয়ায় সেসব অঞ্চল থেকে এবার বাজারে সবজি আসেনি। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে সংকট, বেড়ে গেছে দাম।