সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রাখতেই সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
চালের ভালো উৎপাদন হলেও বাজারে তেমন প্রভাব নেই। মোটা কিংবা সরু সব ধরনের চালই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। টিসিবির তথ্য বলছে, দেশে সরু চালের দাম গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
এমন পরিস্থিতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী জানান, বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই আমদানি করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চাল আমদানি আমাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট আছে। সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, চালের দাম চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। তবে সিন্ডিকেট করে অনেকে বেশি মুনাফা করার চেষ্টা করে। এদেরকে নিবৃত করার জন্যও চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
চালের অবৈধ মজুত রোধে মিল ও আড়তে অভিযান শিগগিরি জোরদার করা হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিতে সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিকীকরণ করা, যাতে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে। এক্ষেত্রে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে তাদেরকে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, পলিসিসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত মাসে আমদানি শুল্ক ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। যা কার্যকর থাকবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।