এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৮ নদীর পানি। বর্ষার পূর্ণিমার প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর ফলে গত বুধবার থেকে দক্ষিণের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্মাঞ্চল ও বরিশাল নগরীর বেশ কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। আর এতে চরম বিপাকে পড়েছে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা।
রোববার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ণিমার প্রভাবে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন আলম সুপ্ত।
তিনি জানান, বিভাগের মোট ২৩ নদীর মধ্যে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০ নদীর পানি প্রবাহ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত গত কয়েকদিন ধরেই ১০ নদীর পানিই বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সবশেষ রোববার গুরুত্বপূর্ণ ৮ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি দুই নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার সমান্তরালে এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন আলম সুপ্ত জানান, এটি বন্যা পরিস্থিতি না। নদী প্রধান বরিশাল বিভাগের বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক চিত্র। তাই এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নাই।