বৈশ্বিক খাদ্য রফতানি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে একটি চুক্তির জন্য বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্ক। আল-জাজিরার খবর বলছে, শুক্রবার (২২ জুলাই) এই তিন দেশের মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।
এতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। দোলমাবাহজ প্রাসাদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে তিনিও বৈঠকে থাকবেন বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এক টুইটবার্তায় এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন বলেন, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য শস্য রফতানি চুক্তিটি অপরিহার্য। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও গুতেরেসের সহায়তায় ইস্তাম্বুলে এই চুক্তি হতে যাচ্ছে। এতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।
বিশ্বের গম সরবরাহের দুটি বড় উৎস হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর বৈশ্বিক খাদ্য রফতানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশে খাদ্যমূল্য আকাশছোঁয়া বেড়ে গেছে।
ইউক্রেন যাতে লাখ লাখ টন মজুত খাদ্য বিদেশে রফতানি করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন অ্যান্থনিও গুতেরেস। যুদ্ধের কারণে এসব খাদ্যপণ্য কৃষ্ণসাগরে আটকে রয়েছে। গুতেরেসের পরিকল্পনা সফল হলে বিশ্ব খাদ্যমূল্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল-জাজিরার খবর বলছে, ইউক্রেনে বর্তমানে দুই কোটি ২০ লাখ টন খাদ্য আটকা রয়েছে।
গেল সপ্তাহেও ইস্তাম্বুলে বৈঠক করেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তখন তাদের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক চুক্তি হয়েছে। এতে কৃষ্ণসাগরের বন্দরে আসা-যাওয়া করা জাহাজের ওপর দুদেশের যৌথ নিয়ন্ত্রণের আভাস দেয়া হয়েছে।
খাদ্য পরিবহনের জাহাজ চলাচলের পথ নিরাপদ রাখারও নিশ্চিয়তার কথা বলা হয়েছে ওই চুক্তিতে।
ইস্তাম্বুলে খাদ্যপণ্য রফতানি একটি সমন্বয় কেন্দ্র স্থাপনের কথাও থাকছে চুক্তিতে। যাতে জাতিসংঘ, তুর্কিশ, রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান খান বলেন, ঘটনা হচ্ছে গুতেরেসের ইস্তাম্বুল সফরের অর্থ দাঁড়াল, আমরা চুক্তির দিকেই অগ্রসর হচ্ছি।