মহাকাশে হস্তমৈথুন করা একেবারে নিষিদ্ধ। নিজেদের দৈহিক আনন্দ দেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি সকল মহাকাশচারীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মহাকাশে হস্তমৈথুন করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। একেকবারে দুর্ঘটনাক্রমে অন্তত তিন জন নারী ক্রু গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন। ‘শূন্য মাধ্যাকর্ষণে ভাসমান শুক্রাণু ঠিক তাদের গন্তব্য খুঁজে নেয়’ বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাই মহাকাশে আত্ম-আনন্দদান একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন চ্যাট শো ‘কিং কোনান ও’ব্রায়েনের নিডস এ ফ্রেন্ড’ পডকাস্টের মাধ্যমে, মহাকাশ নিয়ে এই উদ্ভট তথ্য সামনে এসেছে। বর্তমান নাসা মহাকাশে যৌনতা কীভাবে কাজ করে তা পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নাসার আগামী দিনের চাঁদ এবং মঙ্গল অভিযানগুলিতে এই বিষয়টি হাতে-কলমে পরীক্ষা করা হবে। এ বিষয়ে আলোচনার সময় পডকাস্টের সঞ্চালক কোনান নাসার এক প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কখনও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পর্নোগ্রাফি পাঠিয়েছেন কি-না?

(The brief exchange was as follows: –
CONAN: “Were someone to be watching space porn on the space station, how does that work?”
GOURLEY: “Three female astronauts can be impregnated by the same man from the same session.”
CONAN: “Because the semen flies around?”
GOURLEY: “Uh-huh. And finds its way.”
MOVESIAN: “And the women are all naked?”
GOURLEY: “Well it’s space porn.”)
(Source: https://interestingengineering.com)

জবাবে নাসার ওই প্রকৌশলী জানান-না, তিনি কখনওই এই কাজ করেননি। এরপর আরও এক কদম এগিয়ে কোনান জিজ্ঞেস করেন, ‘পর্নোগ্রাফি কি শূন্য মধ্যাকর্ষণে কাজ করে?’

‘এটা তো সব জায়গাতেই কাজ করে?’ ওই প্রকৌশলী বলেন, ‘কোনো পুরুষ একবার হস্তমৈথুন করলে তিনজন মহিলা মহাকাশচারী গর্ভধারণ করতে পারেন। শুক্রাণু ঠিক তার পথ খুঁজে পায়। শূন্য মধ্যাকর্ষণে ভাসমান শুক্রাণু মহিলাদের জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে। এ কারণেই মহাকাশচারীদের হস্তমৈথুন করতে নিষেধ করা হয়েছে।’

কিন্তু, মহাকাশে যৌনতা কীভাবে কাজ করে-হঠাৎ এই বিষয় নিয়ে কেন চর্চা করছে নাসার মতো সংস্থা? বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধরনের গবেষণা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অদূর ভবিষ্যতে দূর মহাকাশে যাত্রা শুরু করবে মানুষ। সেই দীর্ঘ যাত্রাপথে মহাকাশচারীদের যৌনতার চাহিদা পূরণ অনিবার্য। পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে বসতি স্থাপন করতে গেলেও যৌনতার প্রয়োজন।

কানাডার মন্ট্রিয়লের কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও আপাতত এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা বলেছেন, ‘দূর মহাকাশ অভিযানে সাফল্যের জন্য এবং পৃথিবীর বাইরে বসতি গড়ে তোলার জন্য এই ধরনের গবেষণা অপরিহার্য।’ তাই এখন পর্যন্ত মহাকাশে হস্তমৈথুনের অনুমতি না পেলেও,খুব শিগগিরই পরীক্ষার অংশ হিসেবে হয়তো মহাকাশে সঙ্গমে লিপ্ত হবেন মহাকাশচারীরা।

তবে বিষয়টিকে আর্ন্তজাতিক ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠান অসত্য বলছে। তারা বলছেন, ওই পডকাস্টে কেনন এবং গোরলে’র মধ্যকার ওই অংশের কথোপকথন ছিল কৌতূকপূর্ণ।