সম্প্রতি নাটোরে ৪০ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার সঙ্গে ২২ বছরের কলেজছাত্রের বিয়ের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই অনেক আলোচনা-সমালোচনা করছেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে কোনো ব্যক্তি কি নিজের চেয়ে বেশি বয়সের বড় নারীকে বিয়ে করতে পারবে?
বয়সে বড় নারীকে বিয়ে করলে কি কোনো অসুবিধা আছে? এমন প্রশ্ন করে অনেকে জানতে চান যে, বয়সে বড় নারীকে বিয়ে করা যায় কিনা। বা বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করা নিয়ে ইসলামে কি বিধান আছে?
এর উত্তর হলো- রক্তের সম্পর্ক যাদের সঙ্গে রয়েছে, তাদের বিয়ে করা জায়েজ নেই; এর বাইরের অন্য কেউ যদি বয়সে কয়েক বছরের বড় হয়— তাহলে তাকে অবশ্যই বিয়ে করা যাবে। আর বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করার বিধান নবী-রাসুল (সা.) দের মধ্যেও দেখা গেছে।
যেমন- আমরা সকলেই জানি যে, আল্লাহ নবী (সা.) খাদিজাতুল কুবরা (রা.)-কে বিয়ে করেছিলেন। বয়সের দিক থেকে খাদিজাতুল কুবরা (রা.) আল্লাহর নবী থেকে বড় ছিলেন। কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহর রাসুল থেকে তার বয়স ১৫ বছর বেশি ছিল। আল্লাহর নবী ছিলেন পঁচিশ বছর বয়সী। আর খাদিজাতুল কুবরা (রা.) ছিলেন চল্লিশ বছরের। আল্লাহর নবী থেকে পনের বছরের বড় ছিলেন হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.)।
কাজেই বয়সে বড় হওয়ার কারণে বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই। তবে এটা অনেক সময় বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারণ, স্ত্রীকে আয়ত্তে রাখা কারও কারও জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্ত্রীর যেসব হক গুলো আছে এবং যেসব পারস্পরিক লেনদেন আছে, সেগুলোর জন্য স্ত্রী যদি বয়সে ছোট হয়— তখন সাংসারিক জীবন পরিচালনা করা সহজ হয়। এজন্য বয়সে কিছুটা ছোট মেয়েকে বিয়ে করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। আর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়সের ভারসাম্য থাকাটা খুব জরুরি। (সূত্র : সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৬৭; আত-তাবাকাতুল কুবরা, ইবনে সা’দ : ১/১০৫)
সুতরাং হাদিসের আলোকে দেখা যাচ্ছে বয়সে বড় কোনো নারীকে বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। বরং এটা সহজ করে দেওয়া হয়েছে।