সরকার বিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার লক্ষে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি। গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ব দেন দলের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। প্রতিনিধি দলে সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ প্রায় দশজন উপস্থিত রয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- এর নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন উপস্থিত রয়েছেন।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টার কিছু পরে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের অফিসে বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ বা বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলন। যেই আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠক উপলক্ষে রাতেই প্রীতম জামান টাওয়ারের অফিসে নিজ দলের নেতৃবৃন্দের মতামত নিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। ২০২৩ সালের নির্বাচনে কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন জানান, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে চায় গণঅধিকার পরিষদ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে একই দাবিতে বৈঠক করেছে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সঙ্গে। গণফোরামের কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী আলোচনার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গণফোরামের সঙ্গে সংলাপ করে তাদের একটি বিশ্বাস জন্মেছে, সকল রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে। আমরা একটি যুগপথ আন্দোলন একমত হয়েছি।
এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর দাবি করেন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐক্য গড়ে তুলতে চাই, সেই ঐক্যে নির্যাতিত দল হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে রাখতে পারি, কিন্তু তাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়া যাবে না। এসময় বিগত আন্দোলনের সফলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নুর বলেন, আমরা গত ৩৪ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকেই ক্ষমতায় দেখেছি। তাদের চরিত্র একই। এই দুই দল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কিছুই হবে না। এ জন্য তৃতীয় কোনো শক্তিকে আমাদের ক্ষমতায় নিতে হবে।