গত রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন। রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এই তত্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিকেল ৩টায় নুরে আলমের মৃত্যু হয়। আহত হওয়ার পর তার ব্রেনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারণে মাল্টি ডাইমেনশনাল সমস্যা দেখা দেয়। জ্ঞানের মাত্রা কমে যায়। গুলিতে নুরে আলমের মুখমন্ডল ফুলে যায়।
নুরে আলম জীবন দিয়ে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রতিবাদ জানিয়ে গেলেন বলেও জানান ডা. রফিকুল ইসলাম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৩১শে জুলাই বেলা ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিহত হন দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম। মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়। পরে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে দ্রুত ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয়। ১ আগস্ট তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় লাইভ সাপোর্টে নেয়া হয়।