আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। যার বিরুপ প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে।
প্রতি কেজি মিনিকেট চাল মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বস্তা চাল ৩৩০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। তিন-চার দিন আগে এর দাম ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৮২ টাকায়। আর এক বস্তা চাল ৩৭০০ থেকে ৪১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাবুবাজার, বাদামতলী, রায়সাহেব বাজার, সূত্রাপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চালের ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে এ খাদ্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়ত থেকে দাম বেশি রাখায় বাধ্য হয়েই তাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
নওগাঁর বাজারে কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ধান সংকট, ধানের দাম বেশি হওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোরের খোলাবাজারেও নাজিরশাইল, মিনিকেট, বাসমতি, বিআর ২৮, স্বর্ণাসহ বিভিন্ন জাতের চালে কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত।খুচরা বাজারে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে প্রায় সব ধরনের চালের দাম।
তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার তদারকির অভাবে সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকরা।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজারে চালের আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে ডলার সংকটে আমদানিতে গতি নেই। চার দফায় এ পর্যন্ত ৯ লাখ ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। তারপরও রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কমেনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে বড় চালানে আগ্রহ পাচ্ছেন না তারা। এ ছাড়া ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে উৎপাদন সংকটে পড়েছে চালকলগুলো।