সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিখোঁজ মো. কালামের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাল্কহেডের সুকানী মো. মিলন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি এলাকা থেকে কালামের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
নিহত কালামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার এলাকায়। তিনি বাল্কহেডের ইঞ্জিন মেরামতের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। নিখোঁজ মো. মিলনের বাড়ি একই এলাকায়। তিনি বাল্কহেডের সুকানী ছিলেন।
বালুবোঝাই বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতে কল করলে বাল্কহেডের সুকানী মিলন ও শ্রমিক কালামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আজ বেলা ১১টার দিকে কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সুকানী মিলনের সন্ধান এখনো মেলেনি।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বাল্কহেডের নিখোঁজ শ্রমিক কালামের মরদেহ সন্ধ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সুকানী মিলনের সন্ধানে নদী তল্লাশি চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
তিনি আরও বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি শনাক্ত করা গেছে। সেটি মসজিদবাড়ি এলাকার একটি ইটভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর পানির তলদেশে রয়েছে। বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন বলেন, বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের তলায় ছিদ্র হয়ে পানি উঠতে শুরু করে। এরপর উজিরপুরের চৌধুরীর হাট ঘাটে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়। দুই শতাধিক যাত্রী নেমে বিকল্প পথে গন্তব্যে চলে যান। তবে তখনও শতাধিক যাত্রী লঞ্চে অবস্থান করছিলেন। ভোরের দিকে লঞ্চটি মেরামত সম্পন্ন হলে ওই যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিংসান-৯ ও বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সংঘর্ষ ঘটে। এতে বালুবোঝাই বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে সুকানী মো. মিলন ও শ্রমিক কালাম নিখোঁজ হন। শ্রমিকের মরদেহ মিললেও সুকানী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।