রাজধানীর গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে ওয়েবিল ও চেকার প্রথা বাতিলসহ তিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি।
বুধবার (১০ আগস্ট) থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় সমিতির তরফে। সমিতির দপ্তর সম্পাদক সোমদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে, সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে। চার্টের বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রতিটি গাড়িতে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট অবশ্যই টাঙিয়ে রাখতে হবে।
কোনো পরিবহণের গাড়িতে বিআরটিএ’র পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না করা হয় সে বিষয়ে সভায় মালিকদের সমন্বয়ে ৯টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়। এসব টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে থেকে সব অনিয়ম তদারকিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা শহর ও শহরতলী রুটে চলাচলকারী গাড়ির ওয়েবিলে কোনো স্ল্যাব থাকবে না। রাস্তায় কোনো চেকার থাকবে না। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত গাড়ির দরজা বন্ধ থাকবে, খোলা রাখা যাবে না। রুট পারমিটের স্টপেজ অনুযায়ী গাড়ি থামাতে হবে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি।