আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি নামে তালেবানের এক শীর্ষ ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী একটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে নিহত হন শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। হামলার তদন্ত শুরু করেছে তালেবান পুলিশ।
রহিমুল্লাহকে এর আগে অন্তত দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। যার একটি ছিল পাকিস্তানে। তবে দুইবারই বেঁচে যান তিনি। তবে তৃতীয়বার আর বাঁচতে পারলেন না। গত বছর ক্ষমতা নেয়ার পর তালেবান নারী ও মেয়ে শিশুদের পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি নারী শিক্ষার পক্ষে প্রকাশ্যেই কথা বলেন রহিমুল্লাহ।
রহিমুল্লাহকে শহীদ অভিহিত করে তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে তালেবান। তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেছেন, ‘খুব দুঃখের সাথে জানানো হচ্ছে, সম্মানিত আলেম (শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি) শত্রুদের কাপুরুষোচিত হামলায় শহীদ হয়েছেন।’
তালেবানের চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামলাকারী এমন একজন যিনি আগে তার পা হারিয়েছিলেন এবং একটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম পায়ে বিস্ফোরকগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন।
তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করছি এই ব্যক্তি কে এবং কারা তাকে শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানির ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এসেছিল। এটি আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।’
তিন আগেই আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গাড়িতে বোমা হামলায় পাকিস্তান তালেবানের শীর্ষ নেতা আবদুল ওয়ালিসহ ৪ জন নিহত হন। পাক কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ওই নেতা ওমর খালি খোরাসানি নামে পরিচিত ছিলেন।
পাকিস্তান তালেবান গোষ্ঠীর দাবি, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রোববার (৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাতে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হয় ৯ আগস্টে।