করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বোন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার নেতার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলো। খবর দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে জয় ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। টানা দুই সপ্তাহ ধরে নতুন কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেছেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এরপরই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জ্বরে আক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন তার বোন কিম ইয়ো জং।
এদিকে উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাস থাকা লিফলেট সীমান্ত দিয়ে এ দেশে পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে সিউল।
ভাইয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিম ইয়ো জং বলেন, প্রচণ্ড জ্বরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি মহামারি বিরোধী যুদ্ধের মুখে শেষ অবধি যাদের যত্ন নিতে হয়েছিল তাদের কথা ভেবে এক মুহুর্তের জন্য শুয়ে থাকতে পারেননি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দেশটির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক বৈঠকে করোনার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ জয়ের ঘোষণা দেন কিম। দুই সপ্তাহ ধরে দেশটিতে নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় কিম বলেন, ‘আমাদের জনগণের অর্জিত বিজয় এটি। একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে আমাদের রাষ্ট্রের মহিমা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজর রাখতে হবে। কারণ, এখনো বিশ্বে মাঙ্কিপক্স হচ্ছে, করোনাও ছড়াচ্ছে।
কিম জং উনের এমন ঘোষণায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি শুরুর পর অর্থনৈতিক দুর্দশা ঢাকতে ও দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে শুরু থেকেই তথ্য গোপন করেছেন কিম।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে পুরো বিশ্ব। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন দেশের সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা নিয়মিতই প্রকাশ করে দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে বরাবরই উল্টো পথে ছিল উত্তর কোরিয়া। করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা গোপনের অভিযোগ ওঠে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে।