বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল করে আরও ৬টি জন্মনিবন্ধন দেয়ার প্রমান পেয়েছেন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা। ওই ৬টি জাল স্বাক্ষরের কাগজপত্র বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে তিনি প্রেসক্লাবে জমা দিয়েছেন।
এ সময় সিল কোথায় পেয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন তার এবং সচিবের সিল বানিয়ে বহু আগে থেকেই তাদের স্বাক্ষর নিজে দিয়ে সাধারণ মানুষকে জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আসছে।
অনুসন্ধান করলে মামুনের ঘৃণ কুকৃর্তির আরও অনেক প্রমান পাওয়া যাবে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি। সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, উদ্যোত্তা মামুন তাদেরও সিল বানিয়ে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন আবেদন সঠিক করে দেয় অর্থের বিনিময়ে।
সমস্ত বিষয় গুলো চেয়ারম্যানসহ তারা অধিকতর তদন্ত করারও দাবী জানান। এদিকে ৩১ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মসজিদবাড়ী গ্রামের সাবিনা নামের এক নারী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিকত্ব সনদ নিতে গেলে তার জন্মনিবন্ধনে সিল ও স্বাক্ষর দেখে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ইউপি সদস্যের সন্দেহ হয়।
এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার কাছ থেকে ৩ শত টাকা নিয়ে মামুন ও সাখাওয়াত গত ৫ জুন জন্মনিবন্ধন দেয় তাকে। পরে তারা জনতার রোষানলে পড়লে, খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে আসেন।
ওই সময়ে চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। পরে গত ২ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও শিক্ষক সাখওয়াত হোসেনকে আসামী করে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।