মহানবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির জেরে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে গত ২৬ মার্চ ওই অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এফআইআরও দায়ের করা হয়। সেই মামলাগুলোর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনও করেন নূপুর শর্মা।
তবে, সেই সময় বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি চন্দ্র কান্তের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আদালত মৌখিকভাবে নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনাও করেছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন বিতর্ক।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ওই একই বেঞ্চ বলেছে, এই আদালত ইতিমধ্যেই আবেদনকারীর জীবন ও নিরাপত্তার গুরুতর হুমকির বিষয়টি বিবেচনা করেছে। তাই আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সব এফআইআর স্থানান্তর করা হোক এবং তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে জমা করা হোক।
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এফআইআরগুলো দিল্লি পুলিশের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস’ বা ‘আইএফএসও’ বিভাগ তদন্ত করবে।
বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি চন্দ্র কান্তের বেঞ্চ আরও বলেছে, মামলার তদন্তে অন্যান্য পুলিশ বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সুযোগ পাবে আইএফএসও। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নূপুর শর্মাকে দেয়া অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানো হবে।
আদালত আরও বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরগুলো খারিজ করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করতে পারবেন নূপুর শর্মা। ভবিষ্যতে কোনও এফআইআর দায়ের হলে, তার বিরুদ্ধেও আবেদন করতে পারবেন তিনি।
বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিলো মহারাষ্ট্রে। এছাড়া উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং তেলেঙ্গানাতেও পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আরও একটি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।