কাউকে কাঁদানো খুব সহজ হলেও হাসানোর কাজটা কিন্তু বেশ কঠিন। কারণ, শক্তিশালী কোনো কারণ না থাকলে কিন্তু কেউ হাসতে চায় না। আর এই অসাধ্য কাজটিই প্রতিনিয়ত করতে দেখা যায় পর্দায় থাকা কমেডিয়ানদের।
সাধারণত কাউকে হাসানোর কাজটি আরও কঠিন হয়ে পড়ে যখন তা চেষ্টা করা চারকোনা ফ্রেমে বন্দি করার। কিন্তু দক্ষ একজন অভিনয়শিল্পী এই কঠিন কাজটি অনেকটা সাবলীলভাবেই পর্দায় করে থাকেন।
হ্যাঁ, বলছি পর্দায় অভিনয় করা কমেডিয়ান শিল্পীদের কথা। কমেডিয়ান শিল্পীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একজন কমেডিয়ান শিল্পী হলেন ব্রহ্মানন্দম।
আমাদের দেশের বাংলা মুভির পাশাপাশি সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে ভারতীয় মুভিগুলোর। তাই ভারতীয় মুভি দেখার সুবাদে কমেডিয়ান ব্রহ্মানন্দমকে প্রায় সবাই চেনেন। তার পুরো নাম ব্রহ্মানন্দম কান্নেগন্তি।
১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের সাত্তেনাপাল্লেতে জন্মগ্রহণ করেন এই প্রবীণ শিল্পী। এ শিল্পীকে বেশির ভাগ সময় অভিনয় করতে দেখা গেছে তেলুগু মুভিতে।
ভারতীয় মুভিতে অভিনয় করার আগে তিনি পশ্চিম গোদাবরী জেলার আত্তিলিতে তেলুগু ভাষার প্রভাষক ছিলেন।
বর্তমানে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সর্বাধিক স্ক্রিন ক্রেডিটধারী জীবিত চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৮৫ সালে ‘আহা না পেলান্ত্রা’ ছবিটি দিয়ে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় এই অভিনেতার। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রাহ্মি নামেই বেশি পরিচিত এই অভিনেতা।
সময়ের স্রোতে গড়িয়ে অভিনয় জগতে পার করেছেন ৩৬ বছর। তার ঝুলিতে রয়েছে এগারো শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করার রেকর্ড।
তার পারিশ্রমিক শুনে অনেকেরই চোখ চড়ক গাছে উঠবে। এই কমেডিয়ান অভিনেতার এক দিনের পারিশ্রমিক ৫ লাখ টাকা। আর একটি ফিল্মের জন্য তিনি পারিশ্রমিক নেন ২ থেকে ৩ কোটি টাকারও বেশি।
প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মালিক এই অভিনয়শিল্পীর গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে প্রায় সব ধরনের গাড়িই। ২০০৯ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। অবসর সময়ে রান্না করার পাশাপাশি পাথরের মূর্তি গড়তে ভীষণ ভালোবাসেন এই অভিনেতা।