যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অতি গোপনীয় নথি জব্দ করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ‘টিএস/এসসিআই’ চিহ্ন দেয়াসহ ১১ সেট নথি জব্দ করেছে গোয়েন্দারা।
কোনো নথিতে ‘টিএস/এসসিআই’ চিহ্ন থাকলে, সেগুলোকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে আখ্যায়িত করা হয়। তবে কোনো ভুল করেননি বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, এসব নথি অপ্রকাশিত।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখার অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
একটি ফৌজদারি তদন্তের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের বাসভবন তল্লাশির ঘটনা এটিই প্রথম। শুক্রবার দুপুরের পরে এসব নথির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও তার আগে সাত-পাতার একটি নথি উন্মুক্ত করেন একজন বিচারক। এসবের মধ্যে পাম বিচে ট্রাম্পের মার-আ-লাগো আবাসিক এলাকায় তল্লাশির আদেশপত্রও রয়েছে।
ট্রাম্পের বাসা থেকে সোমবার কুড়ি বক্সেরও বেশি নথি সংগ্রহ করে এফবিআই। যার মধ্যে বাঁধাই করা এক গুচ্ছ ছবি, হাতে-লেখা চিরকুট, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে অনির্দিষ্ট তথ্য, ট্রাম্পের দীর্ঘ-দিনের মিত্র রজার স্টোনের পক্ষে লেখা একটি ক্ষমাপত্রও রয়েছে।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বাসা থেকে এছাড়া আরও চার সেট গোপনীয় নথিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চলে গেছে এফবিআইয়ের হাতে। ট্রাম্পের বাসা তল্লাশির ঘটনা আভাস দিচ্ছে, সম্ভাব্য গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্ত করছে গোয়েন্দারা।
মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির আইনানুসারে, সম্ভাব্য বিপজ্জনক জাতীয় নিরাপত্তা তথ্য নিজের কাছে রাখা কিংবা তা হস্তান্তর করা অবৈধ। গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত সরিয়ে ফেলাও নিষিদ্ধ। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় এ ধরনের অপরাধের সাজা বাড়িয়েছিলেন। এখন কেউ এ ধরনের অপরাধে জড়িত হলে তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা দেয়া যাবে।
গেল ৫ আগস্ট ট্রাম্পের বাড়ি তল্লাশির অনুমোদন মিললেও তিন দিন পর সোমবার তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।