বরিশালের বানারীপাড়ায় নুরু নামের এক কসাইয়ের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৪ আগস্ট রবিবার বিকেলে উপজেলার সরিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবসনে নুরু কসাইয়ের বসতঘর লাঘোয়া গোয়াল ঘর থেকে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার করে বানারীপাড়া ও ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ।
জানাগেছে ঝালকাঠি সদর থানার ৪নং কেওড়া ইউনিয়নের মহতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ৪টি গরু ১৩ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে চুরি হয়ে যায়। তিনি জানান (গরুর মালিক) তার গোয়ালে ৪টি গরু ছিলো যার সবকটিই চুরি হয়ে যায়।
পরে তিনি বিভিন্ন ভাবে জানতে পারেন তার গরু বানারীপাড়া পৌরসভার বন্দর বাজারের নুরু কসাইয়ের গোয়ালে রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করনে।
পরে সেখান থেকে পুুলিশ এসে বানারীপাড়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় ১৪ আগস্ট বিকেলে গরুর মালিকের বর্ণনানুযায়ী নুরু কসাইয়ের বসতঘর লাঘোয়া গোয়ালঘর থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করেন।
এ সময় নুরু কসাইকে পাওয়া যায়নি। এদিকে নুরু কসাইয়ের বাড়ি থেকে চোরাই গরু উদ্ধার হওয়ার খবর বন্দর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে, বাজারের দোকানী ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তার মালিকাধীন ভাই ভাই গোস্তের দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়া ও ঘর মালিককে ভাড়াটিয়া চুক্তি বাতিল করার দাবীতে জরো হতে থাকেন।
বিষয়টি বানারীপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মো. জাকির হোসেন সরদার বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাফর আহমদকে মুঠোফোনে জানালে, তৎখনাত পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে তাদের দাবী পূরণে নুরু কসাইয়ের ঘর মালিক মো. কাওসার হোসেন খানকে ডেকে এনে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।
তখন দোকান মালিক জনতার সামনে নুরুর সাথে করা তার ভাড়াটিয়া চুক্তি বালিত করবেন বলে জানান। এ সময় বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম ইউসুব আলী ও বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান আশরাফী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এর আগেও নুরু কসাই এসব উল্লেখিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো বলে স্থানীয়রা জানান।