ব্যাংকগুলো ডলার নিয়ে খেলছে বলেই অস্থিরতা কাটছে না দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে। এমন মন্তব্য করে ডলারের দামের সর্বোচ্চসীমা বেঁধে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। এদিকে দেশে বৈষম্য না কমার বড় কারণ হিসেবে এসএমই খাতের উন্নয়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই’র আইকন ভবনে বঙ্গবন্ধুর এসএমই উন্নয়ন ভাবনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসএমই খাতের উন্নয়নে অর্থায়নকে সবচেয়ে বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ নেতা।
কোনোভাবেই বশে আসছে না দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারকে অস্থিতিশীল করে রাখা ডলারের দাম বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া। বৈদেশিক এ মুদ্রা নিয়ে ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে খেলছে বলেই এই অস্থিরতা কাটছে না। এমন সমালোচনা করে বাংলাদেশকে কঠোর ও কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এফবিসিসিআই সভাপতির।
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাংকগুলোর মাঝে কোনো শৃঙ্খলা নেই। আজকে ডলারকে রাখিমালের ব্যবসার মতো করে ফেলেছে তারা। মানে আপনি পণ্য কিনে রাখবেন, তারপর লাভ হবে। সে অবস্থায় তারা ডলারকেও নিয়ে গিয়েছেন। কেন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে না? যে আমি যদি এক ডলার কিনি, আমি যে রেটেই ডলারটা কিনি না কেন, এক টাকা দুই টাকার বেশি লাভ করতে পারব না। আমি মনে করি, সরকারকে এগুলো দেখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা রফতানি খাতের যে বিকল্প ব্যবসার কথা চিন্তা করছি, সেখানে এসএমই খাতটা সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে দেখছি। এগ্রিকালচারেল প্রডাক্ট বা কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প কিন্তু একটি বিশাল বড় সম্ভাবনা। তাছাড়া সরকারও চাচ্ছেন সেখানে যাওয়ার জন্য।
ব্যাংকগুলো এসএমইগুলোকে টাকা দেয়ার জন্য সাচ্ছন্দ্যবোধ করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় অর্থনীতিবিদ খন্দকার গেলাম মোয়াজ্জেম যুক্তি তুলে ধরে বলেন, দেশে বৈষম্য না কমার একটা বড় কারণ এসএমই খাতের উন্নয়ন-অগ্রগতি না হওয়া।
এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বলা হলেও ব্যাংক ও আর্থিকখাত থেকে মোট ঋণের মাত্র ৯ ভাগ পান এসএমই উদ্যোক্তারা।