রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
অভিযাত্রা যুব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে, ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ। বাবুগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মো: জহিরুল ইসলাম যোগদান করেন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: চরমোনাই পীর শনিবার খোলা থাকছে সব সরকারি অফিস জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পথে যেকোনো বাধাই মোকাবিলা করবো: নাহিদ ইসলাম বরিশালে বিটিসিএলের ৬৭ শতাংশ বিল বকেয়া সরকারি অফিসে দক্ষিণ রাকুদিয়া বাবুগঞ্জে শাজাহান ফকিড়ের দোকানের দরজার দুইটা তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরি করেন চোর চক্র  খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। রাকুদিয়া নতুন হাটে মুদি দোকানে চুরি কাশ্মীর হামলার পর চরম উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন

৯ ব্যাংকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতি ১৮ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা

একুশে বিডি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২
  • ২৬৭ জন নিউজটি পড়েছেন

প্রতীকী ছবি

ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের দেওয়া ছাড়ের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও খেলাপি হওয়া থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন গ্রাহক। তবুও ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। একইভাবে করোনাকালে বিভিন্ন সুবিধা তুলে নেওয়ায় প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতিও রয়েছে অনেক ব্যাংকের। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, জুন শেষে ৯টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।

এ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণ, পুনঃতফসিল, প্রভিশন ঘাটতির সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিৎ। ব্যাংকিং কমিশনের মাধ্যমে এর আগেও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে এমন ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- অগ্রণী, বেসিক, জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ কমার্স, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট, ন্যাশনাল, সাউথইস্ট ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এসব ব্যংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১৮ হাজার ৯৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তবে কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করায় পুরো ব্যাংকিং খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। তিন মাস আগে, গত মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ৬৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

৯টি ব্যাংকের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ তালিকায় এগিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে বেসিক ব্যাংকের। রাষ্ট্রের বিশেষায়িত এ ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকায়। এর পরেই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। অগ্রণী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি ২ হাজার ৯৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত এ চার ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১১ হাজার ১৬ কোটি টাকার বেশি। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে দুই ব্যাংক। যারা অতিরিক্ত প্রভিশন রাখতে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের অতিরিক্ত প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রয়েছে ৩৮০ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত রয়েছে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এছাড়া বেসরকারি ৫টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে নানা সমস্যায় জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ১১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থানে আছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ১৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

তবে অতিরিক্ত প্রভিশন রেখে নজির স্থাপন করেছে বেসরকারি মালিকানার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটি এককভাবে সবচেয়ে বেশি প্রভিশন সংরক্ষণ করেছে। এ ব্যাংকটি একাই প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেছে। এর পরেই রয়েছে বেসরকারিখাতের অপর ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। এ ব্যাংকটি অতিরিক্ত ৫৮৬ কোটি এবং পূবালী ব্যাংক রেখেছে ৫১০ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রভিশন। ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত সঞ্চিতি রাখায় সার্বিকভাবে প্রভিশন ঘাটতি কম হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রভিশন ঘাটতি থাকলে ওই ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। ব্যাংক যদি প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। এতে নেতিবাচক দিক তৈরি হয়।

চলতি ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮.৯৬ শতাংশ। তিন মাস আগে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৩ মাসে খেলাপি বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন প্রান্তিক শেষে খেলাপি ছিল ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ২৬ হাজার ৫২ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা যা মোট খেলাপির ৪৪ ভাগ। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ৬২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা যা ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকের দুই হাজার ৯৫৭ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৯৪ কোটি টাকায়।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণ আদায়ে বিমুখ হয়ে পড়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং মঙ্গলজনক হতে হবে। যাতে খেলাপি ঋণ, পুনঃতফসিল, প্রভিশন ঘাটতি কমে আসে। এসব সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিৎ। এর আগেও ব্যাংকিং কমিশনের মাধ্যমে খেলাপি সমস্যার সমাধান হয়েছে।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Saturday, 7th June, 2025
    SalatTime
    Fajr3:44 AM
    Sunrise5:11 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:16 PM
    Magrib6:44 PM
    Isha8:11 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102