মিসরে গিজা শহরের একটি গির্জায় উপাসনার সময় হঠাৎ ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে দগ্ধ ও পদদলিত হয়ে প্রাণ গেছে শিশুসহ অন্তত ৪১ জনের। আহত হয়েছেন আরো ৫৫ জন। এ ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, রোববার (১৪ আগস্ট) মিসরের গিজা শহরের আবো সেফিন গির্জায় নিয়মিত প্রার্থনা করতে জড়ো হন প্রায় পাঁচ হাজার উপাসক। এ সময় হঠাৎই গির্জায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গির্জায়।
আগুনের কারণে গির্জার প্রবেশপথও বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন সবাই। একপর্যায়ে পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গির্জায় আটকেপড়া একজন বলেন, ‘গির্জার ভেতরে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। বেশ কয়েকজনের মরদেহ বের করতে দেখেছি। তাদের মধ্যে অনেক শিশুও আছে। সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না জানি না।
আরেকজন বলেন, ‘মানুষের চিৎকার শুনে আমরা ভেতরে যাই। সেখানে অনেকের মরদেহ দেখতে পাই। ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আগুনও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সে সময়। তখন আমরা আর ভবনের ওপরের দিকে যেতে পারিনি।’
দেশটির দমকল বিভাগ জানায়, আগুনের খবর শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা।
এদিকে গির্জায় আগুনে হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এরই মধ্যে গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু এখনও জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।