গত মৌসুম শেষে পিএসজি আর নতুন করে চুক্তি করেনি আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে। তবে তাতে থোরাই কেয়ার তার। বয়স ৩৪ পেরিয়ে গেলেও এখনো উইংয়ে ভয়ংকর তিনি। যার প্রমাণ দিলেন নতুন ক্লাবের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই। য়্যুভেন্তাসের হয়ে লিগে প্রথম দিন খেলতে নেমেই গোল ও অ্যাসিস্টে মাঠ মাতিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম নায়ক।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সিরি ‘আর ম্যাচে ডি মারিয়ার দ্যুতিময় পারফরম্যান্স ও সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহভিচের জোড়া গোলে সাসুলোর বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে য়্যুভেন্তাস।
মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়াটাকে একটা রীতিতে পরিণত করে ফেলেছে তুরিনের বুড়িরা। সবশেষ ১৩ মৌসুমের মধ্যে ১২টিতেই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে বিয়ানকোনারিরা। শুধু ২০১৫-১৬ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে উদিনেসের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল তারা।
এদিন অবশ্য বলের দখল বা আক্রমণের দিক দিয়ে সাসুলো বেশ এগিয়ে ছিল য়্যুভেন্তাসের চেয়ে। ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় বল ছিল সফরকারীদের দখলে। গোলে শট নেওয়ার দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল তারাই। য়্যুভেন্তাসের ১৪ শটের বিপরীতে সাসুলো শট নিয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে তাদের ৭টি শট ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে য়্যুভেন্তাস চারবার লক্ষ্যে রেখেই তুলে নিয়েছে তিন গোল। কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি দ্বিতীয় দফায় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম ৩ বা তার বেশি ব্যবধানে জয়ের দেখা পেল তুরিনের বুড়িরা।
প্রথম গোলের দেখা পেতে বিয়ানকোনারিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রথমার্ধের ২৬ মিনিট পর্যন্ত। সিরি ‘আতে প্রথমবার খেলতে নেমেই গোলের দেখা পান ডি মারিয়া। অ্যালেক্স সান্দ্রোর ক্রসে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়িয়ে নতুন ক্লাবের হয়ে গোলের খাতা খুলেন তিনি। এই শতাব্দীতে পঞ্চম আর্জেন্টাইন হিসেবে য়্যুভেন্তাসের জার্সিতে সিরি ‘আতে গোল করলেন তিনি। তার আগে এই শতকে তেভেজ, পেরেইরা, দিবালা ও হিগুয়াইন বিয়ানকোনারিদের জার্সিতে গোল করেছিলেন।
তবে গোল করেই থেমে থাকেননি এই উইঙ্গার। দ্বিতীয়ার্ধে ভ্লাহভিচকে দিয়ে একটা গোল করিয়েছেনও। এর আগে অবশ্য পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেছেন এই সার্বিয়ান।
দারুণ পারফরম্যান্সে অভিষেক রাঙালেও ম্যাচটা শেষ করে যেতে পারেননি ডি মারিয়া। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে অ্যাবডাক্টর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই আর্জেন্টাইনকে। তার এই ইনজুরি কতটা গুরুতর তা জানা যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে। য়্যুভেন্তাস কোচ অ্যালেগ্রি জানিয়েছেন মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পরীক্ষা শেষে জানা যাবে, চোট কতটা গুরুতর বা কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এই আর্জেন্টাইন। বিশ্বকাপের মৌসুমে তাকে মাঠের বাহিরে দেখতে চাইবে না ক্লাব বা জাতীয় দলের কেউই।