ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ইউনিসেফ আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাফজয়ী অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। যেখানে পরিচয় পর্বে মারিয়াকে শচীন প্রশ্ন করেন, ‘কেমন আছো ভাইয়া?’
ক্রিকেট বিশ্বের শচীন টেন্ডুলকার এক তারার নাম। তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। মাঠ ও মাঠের বাইরে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম। জরুরি শিশু তহবিলের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাই শচীনকেই বেছে নিল জাতিসংঘ।
গত ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফের এক ভিডিও কনফারেন্সে শচীনের সঙ্গে যুক্ত হন এসময়ের দুই তরুণ ফুটবলার মারিয়া মান্দা ও আংশু কাছাপের সঙ্গে। যেখানে তাকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই ফুটবলারকে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে পরামর্শ দিতে দেখা যায়।
আলোচনার শুরুতে তিন জন নিজেদের পরিচয় দেন। মারিয়া যখন নিজের নাম বলেন, তখনই শচীন তাকে বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন আছো ভাইয়া? ভালো আছো?’
উত্তরে মারিয়াও বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?’ এবারও টেন্ডুলকার বাংলায় বলেন, ‘ভালো, একদম ভালো আছি।’
এরপর শচীন জানতে চান, করোনা মহামারির মধ্যে মারিয়ারা নিজেদের কীভাবে ফিট রেখেছিলেন? উত্তরে মারিয়া বলেন, ‘করোনার সময় আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নিজেদের ফিট রাখতে ফেডারেশন (বাফুফে) আমাদের অনুশীলন সূচি পাঠায়। সেই সূচি মেনে আমরা অনুশীলন চালিয়ে গেছি। সেটার ভিডিও কোচিং স্টাফকে পাঠাতে হতো। সপ্তাহে একদিন কোচদের সঙ্গে জুম মিটিং করি। বাকিটা সময় পরিবারের সঙ্গে থেকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতাম।’
অন্যদিকে আংশু জানান, করোনার সময় সে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। অনুশীলনের জন্য ঘর থেকে বাহির হতে পারতো না। নিজেকে বন্দি মতে হতো। সে তার বাড়ির সামনে থাকা ছোট বাগানে অনুশীলন চালিয়ে ফিট থাকার চেষ্টা করেছে।
দুজনের বক্তব্য শোনার পর টেন্ডুলকার ভবিষ্যতে কীভাবে এ তরুণ ফুটবলাররা নিজেদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখবেন সে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক আছে। তোমরা যা ইচ্ছে খেতে পারো, কিন্তু যখন ইচ্ছে তখনই খেতে পারো না। তোমাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে, তাহলে কোনো কিছু করেই সুখী হতে পারবে না। সে কারণে সুস্থতার মাত্রা সম্পর্কে সব সময় সতর্ক থাকবে।’