পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিসিবি। সেখানেই এ বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা কথা জানান বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
১৫ আগস্ট, একদল বিপথগামী সৈনিকের বুলেটের আঘাতে সপরিবারের শহীদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতাকে হারানোর দিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া মাহফিল ও এতিম ও দুস্থদের মাঝে খবার বিতরণের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারানোর শোকের দিনে চার হাজার এতিম শিশুর জন্য খাবা বিতরণের আয়োজন করে বোর্ড।
তবে, সেখানে দেখা যায়নি জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারকে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত বিপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের উপস্থিতিও ছিল না আয়োজনে। শোকের আয়োজনে ছিল এতিম ও দুস্থদের জন্য। তবে, বিসিবির আয়োজনে শামিল হওয়া অনেকের আচরণ দেখে মনে হয়নি তারা কোনো দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসেছেন। বরং সেলফি উৎসবই ছিল তাদের প্রধান কাজ।
যদিও এদিকে কোনো সুনজর ছিল না। ১৫ আগস্টকে পৃথিবীর জঘন্যতম হতাকাণ্ড উল্লেখ করে পাপন বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলো যদি সে সময় সরব থাকত, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আরও আগেই সম্ভব হতো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে মানবাধিকারের যত সংগঠন, তারা যদি বিন্দুমাত্র সোচ্চার হতো আজকে অনেক কিছুই হয়তো হতো না। সেই ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট থেকে শুরু করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো তখন তারা নীরব থাকার জন্যই আজকাল অনেককিছুই হচ্ছে। আমি আশা করি, মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন বোকা না। এই হত্যার প্রতিবাদ তারা এখন অবশ্যই করবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম।’
জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকীতে পাপন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজেদের নতুন পরিকল্পনার কথা। পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মিত হলে সেখানে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করতে চায় বোর্ড।
পাপন বলেন, ‘আসলে কনসেন্ট্রেশন পুরোটাই চলে গেছে পূর্বাচলে নতুন যে স্টেডিয়ামটা হতে যাচ্ছে সেখানে। আমরা সব কাজ ওটা নিয়েই করছি, তবে ডেফিনিটলি ওখানে আমাদের এ ধরনের (বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন) একটা পরিকল্পনা থাকবে এটা আপনাদের বলতে পারি।’