দল থেকে বহিস্কার হয়ে টানা প্রায় দুই বছর দলের মধ্যে কোনঠাসা হয়ে ছিলেন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন এবং তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। সেই খড়া কটিয়ে ওঠেন চলতি বছরে জুনে মাসুদ হাসান মামুনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্যে দিয়ে। এবার নতুন করে মাসুদ হাসান মামুনের রাজনীতির পালে হাওয়া লেগেছে। তার অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা মহানগর যুবদলের বহিস্কৃত আরও পাঁচ নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার আদেশ এই হাওয়া এনে দিয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট বুধবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল সাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। এ পাঁচজনের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারে নিজ দলে কোনঠাসা মাসুদ হাসান মামুনের রাজনীতির ভিত আরও মজবুত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া পাঁচ নেতা হলেন- মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাহাত, সহ-সাধারণ সম্পাদক সহদেব শর্মা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলামিন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক তারেকুল ইসলাম ঝুনু ও প্রচার সম্পাদক মো. বশির খান। পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তাদেরকে স্ব-পদে বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের গত ১৯ জুন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন এর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোপূর্বে ওই পাঁচজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, ‘২০২০ সালের ডিসেম্বরে বরিশাল প্রেসক্লাবে যুবদলের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় টিম লিডার ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
তার উপস্থিতিতে স্লোগান দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ অপরাধে গত ২৬ ডিসেম্বর মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুনসহ তার অনুসারী ছয় নেতাকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া যুবদল নেতা শহদেব শর্মা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা দলের স্বার্থে রাজনীতি করি। মাসুদ হাসান মামুন আমাদের রাজনৈতিক নেতা। তার প্রচেষ্টাতেই আমাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। তার নেতৃত্বেই বিএনপি’র সবধরনের আন্দোলন সংগ্রামে পূর্বের ন্যায় যুবদল রাজপথে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মীর রাজপথের শ্রম কখনো বৃথা যায় না। যাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা সবাই বিএনপি’র সবধরনের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের পরিশ্রমি নেতা। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই কেন্দ্র তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং পরিশ্রমের কারণেই মহানগর যুবদলের পদও ফিরে পাবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।
যু্বদল নেতা মাসুদ হাসান মামুন বলেন, ‘বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমান দেশে আসবেন। তিনি দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা সকল ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছি।