ঘনিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতমধ্যে নানা কৌশলে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের উন্নয়নের হিসেব নিকেশও শুরু করেছে সাধারন মানুষ।
এমনই আলোচনা চলছে বরিশালের মুলাদী-বাবুগঞ্জেও। এই দুই উপজেলার নানা উন্নয়ন ও উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষরা চাচ্ছেন তরুন ও মেধাবী নেতৃত্ব।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শোনা যাচ্ছে মিজানুর রহমানের নাম।
মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান, মুলাদী উপজেলা সদরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসহাক হাওলাদারের পুত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করা মিজানুর রহমান এর পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এই তরুণ নেতাকে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দিলে এই আসনটি আওয়ামী লীগে ঘরে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ- মুলাদীর এই দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। পাশাপাশি এই দুই উপজেলার সাধারণ মানুষও মিজানুর রহমানকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
সাধারন মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী, বাবুগঞ্জ-মুলাদী উন্নয়ন বঞ্চিত। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরী করলেও এই দুই উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত। মিজানুর রহমান এর তরুন নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে সাধারন মানুষ ও এলাকার উন্নয়নের মধ্যদিয়ে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ওয়ান ইলেভেনে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) মুক্তি আন্দোলনে প্রথম সারিতেই ছিলেন মিজানুর রহমান। যুবলীগের রাজনীতি করার সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন সক্রিয়। বর্তমানে তিনি যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তরুণ, মেধাবি এই নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দিতে আগামী জাতীয় সংসনদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন।
আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মিজানুর রহমান।
এরই মধ্যে তার আগমনের খবরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারন মানুষের মধ্যে উচ্ছাস লক্ষ করা গেছে। শনিবার সকালে মিজানুর রহমান বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইসলাদী বাজারে যান। এসময় তাকে দেখতে পেয়ে শত শত লোক তার সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, উজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হেমায়েত উদ্দিন, দেহেরগতি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. শাহ আলম মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
ইসলাদী বাজারের সাধারন মানুষ ও নেতাকর্মীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচন করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাকেই এই দুই উপজেলার এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা।
মিজানুর রহমান তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে মুলাদী-বাবুগঞ্জের স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে অবহেলিত মুলাদী-বাবুগঞ্জকে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে পতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান মতবাদকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ দিলে আমি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তেই কাজ করবো। এলাকায় কর্মমূখী শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্ব নিরসন, সাধারন মানুষর দুঃখ, কষ্ট লাঘবে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। তিনি মনে করেন, সরকারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য এখনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যাওয়া প্রয়োজন। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে সাধারন মানুষের ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকাকে বিজয়ী করবো।