ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় ফের ধর্ষণের শিকার হয়েছে ধর্ষিত নারী। অভিযুক্ত যুবক রুবেল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এতে ভুক্তভোগি নারী রাজি না হওয়ায় বসত ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে তিনি রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে মারধর করেন যুবক রুবেল। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নারীকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে ভিক্টিম নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক রুবেলকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গত রবিবার গভীর রাতে জাহানপুর ইউনিয়নের তুলাগাছিয়া বাজার এলাকার রোকেয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের আশ্রিত নারীর ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
ভিক্টিমও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল জাহানপুরের ৯নং ওয়ার্ডের ভিক্টিমের সাথে বিয়ের কথা পাকা করার জন্য ভিক্টিমের বোনের বাড়িতে নিয়ে একান্ত কথা বলার অজুহাতে কৌশলে বাগানের মধ্যে ভিক্টিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মুদি ব্যবসায়ী রুবেল। ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে ফেলে এবং হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
স্থানীয়দের ধড়পাকড়ের মুখে রুবেল ভিক্টিমকে স্ত্রী বলে দাবি করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে গা-ঢাকা দেয়। নিরুপায় হয়ে ভিক্টিম গত ২৪ জুন রাতে ধর্ষক রুবেলকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবক রুবেল ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে দায়ের কার মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় রবিবার রাতে বসত ঘরে ঢুকে জোরপুর্বক দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন। এতেই ক্ষান্ত হননি অভিযুক্ত রুবেল। ধর্ষণ শেষে গভীর রাতে ঘরের মধ্যে আটক রেখে তাকে এলাপাতারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশের ভয়ে অভিযুক্ত যুবক রুবেল পালিয়ে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, যুবক রুবেল পূর্বের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। ফের ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভিক্টিম নারী বাদী হয়ে সোমবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।