বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে গত বছরের ২৬ মার্চ ঢাকা সফর করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরকালে মোদি দাবি করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি সত্যাগ্রহে (অহিংস আন্দোলন, অনশন, পিকেটিং, পণ্য বর্জন বা হরতাল) অংশ নিয়েছিলেন। এমনকি এ জন্য তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবির সমর্থনে কোনো তথ্য দিতে পারেনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ নিয়ে গেল ৩১ আগস্ট এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদির সত্যাগ্রহে অংশ নেয়া, জেল খাটা ও মুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে এক আরটিআইয়ের (তথ্য অধিকার আইনে আবেদন) জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে যে তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা নথি নেই।
দ্য ওয়্যারের খবরে বলা হয়, ঢাকা সফরকালে নরেন্দ্র মোদি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওই সফরকালে তিনি বলেন, ‘আমি তখন ২০ থেকে ২২ বছরের যুবক। কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সমর্থনে সত্যাগ্রহ করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়ায় তখন আমাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল।’
এরপরই মোদির এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে, তার সত্যাগ্রহে অংশ নেয়ার প্রমাণ বা এ সংক্রান্ত নথি চেয়েছিলেন ভারতের বিরোধী দলের নেতারা। পরে বাংলাদেশে এসে ওই বক্তব্য দেয়ায় তথ্য অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি আবেদন করেন জায়েশ গুরনানি নামের এক ব্যক্তি।
মোদির ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে ৫টি বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন গুরনানি। এর মধ্যে ছিল, সত্যাগ্রহ পালনকালে মোদিকে কোন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা এফআইআর, গ্রেফতারের মেমো বা প্রাসঙ্গিক নথি, জেল থেকে মোদির মুক্তির নথি এবং যেখানে তাকে রাখা হয়েছিল সেই জেলের নাম।
কিন্তু মোদির ওই বক্তব্যের সমর্থনে কোনো তথ্য নেই বলে আরটিআইয়ের জবাবে জানিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চা বিক্রেতা হিসেবে তার অতীত।