আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে যৌন নির্যাতনের কাহিনী নতুন কিছু নয়। তবে এসব ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে চিন্তায় ফেলেছে দেশটির নীতি নির্ধারকদের।
পেন্টাগনের সবশেষ জরিপ বলছে, আমেরিকার সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট এসব তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে এই তথ্য সংগ্রহ করছে পেন্টাগন। তবে, এ বছরই যৌন নির্যাতনের সবথেকে বেশি অভিযোগ রিপোর্ট করা হয়েছে।
প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, দায়িত্ব পালনের সময় প্রতি ১২ জনে একজন নারী যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। একই ধরণের অভিযোগ করেছে ১.৫ শতাংশ পুরুষও।
পেন্টাগনের ‘অ্যানুয়াল রিপোর্ট অন সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট’ ২০২১ অনুযায়ী, মোট ৩৫ হাজার ৮৭৫ জন যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। যা ২০১৮ সালে ছিল ২০ হাজার ৫০০ জন।
পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, যৌন নিপীড়ন পরিমাপ করতে ব্যবহৃত মেট্রিকের পরিবর্তনের কারণে যৌন নিপীড়ন বেড়েছে কি না, তা বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
তবে অন্যান্য যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে নিপীড়ন বাড়ারই ইঙ্গিত দেয়। নিপীড়নের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি সেনাবাহিনীতে, সংখ্যাটি ২৬ শতাংশ। এরপর নৌবাহিনীতে ১৯ শতাংশ।
পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এলিজাবেথ ফস্টার বলেন, এ সংখ্যাগুলো একই সঙ্গে দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, ঘটনাগুলো বিভিন্ন মিশনের প্রস্তুতিতেও প্রভাব ফেলছে।
অফিস অব ফোর্স রেজিলিয়েন্সির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তাতে বোঝা যায়, নারীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
ফস্টার আরও জানিয়েছেন, গত বছর পুরুষদের নিপীড়নের মাত্রা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে পুরুষেরা ছিলেন নিপীড়নের সর্বোচ্চ স্তরে।
আমেরিকান সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়তে থাকায় পেন্টাগন গত কয়েক বছর ধরেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে।