আরও একটা ব্যর্থতার গল্প। সবশেষ দুই আসরের রানার্স-আপ বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করতে বসলে অবধারিতভাবেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবি।
বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসরের পর ওপেনিংয়ে এখনও থিতু হতে পারছেন না কেউই। বিজয়-নাঈম-মুনিম কিংবা সবশেষ সংযোজন হওয়া সাব্বির রহমানও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল সবচেয়ে বেশি মিস করেছে লিটন দাসকে। সাম্প্রতিককালে টিম টাইগার্সের ব্যাটিংয়ে নির্ভরতা হয়ে উঠছেন তিনি।
গেল জিম্বাবুয়ে সফরের প্রথম ওয়ানডে চলাকালে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন লিটন দাস। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি তার। সম্প্রতি সময় সংবাদের সঙ্গে কথা হয়েছে লিটনের। ইনজুরির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে টাইগার এ ব্যাটার বলেন, আপাতত ইনজুরির যে অবস্থা, আগের থেকে কিছুটা উন্নতির দিকে। ফিজিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। এরপর হয়তো মাঠে ফিরতে পারব। বাকিটা আমার পুনর্বাসনের ওপর নির্ভর করছে।
ইনজুরির কারণে বাইশগজে না থাকলেও বড্ড মিস করছেন লিটন। বলেন, সব খেলোয়াড়ই মাঠকে মিস করে। এছাড়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটা বড় একটা টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপের পরই তো আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। মিস করাটাই স্বাভাবিক। তবে এটাও মেনে নিতে হবে যে, ক্রিকেটারের জীবনে ইনজুরি থাকবেই। এখন একটাই প্রত্যাশা যেন দ্রুত ইনজুরি কাটিয়ে সামনের খেলাগুলো খেলতে পারি।
তবে নিজের হতাশা লুকাতে পারলেন না লিটন। বলেন, ইনজুরির আগে ছন্দে ছিলাম। জানি না আবার ফেরার পর কি হয়। ইনজুরি অনেক ক্রিকেটারের জীবন বদলে দেয়। চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার। বাকিটা উপরওয়ালা জানেন।
নতুন অধিনায়ক, নতুন কোচের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে নতুন শুরুর আশা ছিল বাংলাদেশের। তবে আবারও সেই ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যদিও লিটন মনে করেন, অনেক ক্রিকেটারই এখন হয়তো পারফর্ম করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। একদিন তারাই আমার থেকেও আরও ভালোভাবে কামব্যাক করবে।
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নিজের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, সত্যি বলতে গেল জিম্বাবুয়ে সফর থেকেই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম। ইচ্ছা ছিল বিশ্বকাপের আগে বেশি বেশি টি-টোয়েন্টি খেলে আরও ঝালিয়ে নেয়ার। কিন্তু ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে আছি। সুতরাং আমি চাইলেও অনেক কিছু নিয়ে যেতে পারবো না। সেভাবে প্রাকটিচ করতেও পারব না এখন।
আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমার প্রধান লক্ষ্য নিজেকে ফিট রাখা। এর মধ্যে যদি ইনজুরি থেকে সেরে উঠি, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করব।