অধিকৃত পশ্চিম তীরে আবারও ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে অন্তত ২১ জনকে আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে ইসরাইলের দাবি, সেনাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ছোড়ার জবাবে গুলি চালায় তারা।
আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করে ইসরাইল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরাইলি সেনারা।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে একটি শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালাতে গেলে বাধার সম্মুখীন হয় ইসরাইলি সেনারা। এ সময় গুলি চালালে এক যুবক নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবকের বুকে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর আল-জাজিরার।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওই যুবকের মরদেহ কাঁধে নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনি।
এদিকে এক বিবৃতিতে তেল আবিব দাবি করেছে, নিয়মিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে সেনারা। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ‘বিস্ফোরক বস্তু’ নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনিরা। পরে নিজেদের প্রাণ রক্ষায় গুলি চালায় সেনারা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গেল এক সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে তিন জনের। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ২০১৮ সালে ৩১ হাজারের বেশি, ২০১৯ সালে প্রায় ১৬ হাজার, ২০২০ সালে আড়াই হাজারের বেশি, ২০২১ সালে প্রায় আড়াই হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। আর ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।