বরিশাল ॥ ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ জ্বালানি তেল, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় করা পৃথক ছয় মামলায় বিএনপির ১১৩ নেতাকর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে, তাদের ছয় সপ্তাহ পর নিজ নিজ জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল (এম আর) হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামিদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন।
আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষে মামলা করেন ব্যারিস্টার রুহুল মো. কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আকতার রসুল, অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূরে আলম সিদ্দিকী (সোহাগ), অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক বিল্লাহ ও আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়া, ঠাকুরগাওয়ের রুহিয়া এবং ঝিনাইদহ সদর থানায় আলাদা মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৩০, ঝিনাইদহে ১০, ফেনীতে ৪৯ ও ঠাকুরগাওয়ের ১৯ জন নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান।
গত ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। পরে ৩০ আগস্ট বিকেলে সোনাগাজী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়।
এসব মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) সুরজিৎ বড়ুয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন। পৃথক মামলা করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের ৩৪৪ নেতাকর্মীর নামে।
এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, ফেনী ও ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা করা হয়।