অবশেষে আমদানি বাণিজ্যে পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে স্লট বুকিংয়ে চাঁদার পরিমাণ কমিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সময় সংবাদে খবর প্রকাশের পর নির্ধারিত কয়েকটি পণ্যের ওপর চাঁদার পরিমাণ ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানিকারকরা খুশি হলেও সব ধরনের পণ্যে খরচ বন্ধের দাবি তাদের।
মাত্র ১৭৫ টাকা দিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক যায় ভারতে। অথচ ভারতের পণ্য আসতে এত দিন কালিতলা পার্কিংয়ে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজদের সিন্ডিকেটে ২০ থেকে ২৫ দিন আটকে থাকত একেকটি ট্রাক।
অবশেষে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গত ২৫ জুলাই থেকে অনলাইনে স্লট বুকিং চালু করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকার। এতে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার রুপি ও চ্যাসিজ প্রতি ৫ হাজার রুপি নির্ধারণ করায় নতুন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন আমদানিকারকরা। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকা গুনতে হতো।
সময় সংবাদ গত ৩১ জুলাই রিপোর্ট প্রচার করলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ফলে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এসিড, গ্যাস, পচনশীল খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধশিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের ট্রাক স্লট বুকিংয়ে ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার রুপি নির্ধারণ করে। এমন সিদ্ধান্তে খুশি আমদানিকারকরা।
তারা বলছেন, কিছু জরুরি পণ্যে ১০ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে তারা এই চাঁদাটা পুরোপুরি বন্ধ করলে আমরা আরও আমদানি করতে পারব। এতে বছরে আমাদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
তবে আগামী দিনে সব ধরনের পণ্যে খরচ বন্ধের দাবি ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, যেসব পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হবে, তার সব পণ্যতেই যেন স্লট বুকিংয়ের টাকাটা না নেয়া হয়।
আমদানি-রফতানি সমিতির তথ্যমতে, একেবারে চাঁদা বন্ধ হলে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় কমবে।