বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না সাকিব আল হাসানের। বেটউইনারকাণ্ডের এক মাস না যেতেই এবার টাইগার অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজির অভিযোগ। এ কথা শুনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন হতভম্ব হয়ে পড়েন।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক অনুসন্ধানে শেয়ারে ব্যাপক কারসাজির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে অন্যদের সঙ্গে নাম উঠে এসেছে মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসানের।
মিরপুরে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের পরিকল্পনার ব্যাপারে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল হাসান পাপন। এসময় শেয়ার বাজারের কারসাজিতে সাকিবের জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিসিবি সভাপতিকে। প্রশ্ন শুনে হতভম্ব হয়ে পাপন বলেন, ‘বলেন কি! আমি তো এ ব্যাপারে জানি না।’
এর আগে, গত মাসে জুয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবির তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন সাকিব। চুক্তি বাতিল না করলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন টাইগার অলরাউন্ডার। বিসিবির এমন অনড় অবস্থায় শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। এবার আরেক বিতর্ক। তবে বিষয়টি ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত না হওয়ায় এ বিষয়ে মাথা ঘামাতে চান না পাপন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ওটা যেহেতু ক্রিকেটের সঙ্গে না, এখন আমি কী করব? এ বিষয়ে আমি জানি না। যদি ক্রিকেটের সঙ্গে হতো তাহলে কথা ছিল।’
এদিকে, ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারে ব্যাপক নয়-ছয়ের প্রমাণ মিলেছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন দেশের শেয়ার বাজারে ‘হিরো’ নামে পরিচিত আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের। তিনি এবং তার স্বজনরা মিলে মাত্র ১৫ দিনের কারসাজিতে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেনে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মুনাফা তুলে নেন। নিজেদের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচা করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে এই মুনাফা তুলে নেন তারা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের দামে বড় ধরনের উত্থানের সময় ব্যাংকটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে ডিএসইর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জানা গেছে, সাকিব আল হাসান, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন শুজ ও সোনালী পেপারের নামে শেয়ার কেনাবেচার কাজটি তদারকি করেছিলেন হিরো।